একটা মানুষ।সে সারাদিন সবার সামনে হাসছে,কথা বলছে,সবকিছু ঠিকঠাকমত করছে।ফেসবুকে ভালো ভালো স্ট্যাটাস দিচ্ছে।কমেন্ট আসছে,"ভাই একটু সুখী হওয়ার টিপস দেন।" আশেপাশের মানুষের live comment, "ভাই, আপনার মত যদি মনে সুখ থাকতো।" জগতের প্রায় প্রত্যেকটা বস্তুরই দুটা দিক থাকে-external & internal. আমরা এটা ভুলে যাই।আমরা একটা মানুষকে শুধুই তার বাহ্যিক দিক দিয়ে চিন্তা করি।ভেতরটা নিয়ে কেউ ঘাটায় না। একজন মদ,গাঁজা খায়।আমরা বলি,"শালা খোর।" এটুকু বলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ। আচ্ছা,মদ-গাঁজা খেলেই মানুষ খারাপ হয়ে যায়?এটা কোন সংবিধানে লিখা আছে? হ্যাঁ,স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেটা বলা যায়। আরেকজন, সারাদিন পড়াশোনা করছে,ক্লাসের ফার্স্ট বয়,দুদিন পর ভাল চাকরী করবে,মোটা অংকের স্যালারী পাবে। "ইশ্,অমুকের ছেলেটা বা তমুকের মেয়েটা এক্কেবারে সোনায় সোহাগা।" এদিকে যে দুনিয়ার আকাম-কুকাম করে বেড়াচ্ছে তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। ওই ছেলেটা রাগী,এই মেয়েটার ব্রেকআপ হয়েছে,ও খারাপ,ওর ড্রেসআপ ভালো না,আবার ওর ওই সমস্যা,সাইকো প্রবলেম,ওর স্মার্টনেস নাই,ক্ষেত,প্রেম করা যাবেনা।কত মানুষকে যে আমরা কতভাবে ডিফাইন করি। মানুষের ভেতরে মানুষ থাকে।বাহ্যিক চেহারার ভিতরে আরেকটা মানুষ।আসল মানুষ। আমরা সেই আসল মানুষটাকে দেখিনা,দেখার চেষ্টাও করিনা।ঠকে যাওয়ার আগ মূহুর্তে ঠিকই দেখি।ওই,"উপরে পরিপাটী,তলে দিয়া ঘটিবাটী" টাইপ আরকি। সবাই উপর দিয়ে সন্তুষ্ট। খোঁজ নিয়ে দেখুন, কেউই সন্তুষ্ট না।সবারই আরো চাই,আরো চাই একটা ভাব আছে।বাহ্যিকভাবে না থাকলেও অভ্যন্তরীণভাবে ঠিকই আছে। এজন্যই তো মানুষ।অত্যন্ত জটিল,অত্যন্ত প্যাঁচানো।কিছুই বোঝা যায় না।আপনি কিছুই ধরতে পারবেন না।এজন্যেই মানুষ। কেউ ভালোর আদলে খারাপ,কেউ খারাপের আদলে ভালো। মানুষকে ভেতরে আর বাহিরে এক করা যায়না।
"মানুষ"
একটা মানুষ।সে সারাদিন সবার সামনে হাসছে,কথা বলছে,সবকিছু ঠিকঠাকমত করছে।ফেসবুকে ভালো ভালো স্ট্যাটাস দিচ্ছে।কমেন্ট আসছে,"ভাই একটু সুখী হওয়ার টিপস দেন।" আশেপাশের মানুষের live comment, "ভাই, আপনার মত যদি মনে সুখ থাকতো।" জগতের প্রায় প্রত্যেকটা বস্তুরই দুটা দিক থাকে-external & internal. আমরা এটা ভুলে যাই।আমরা একটা মানুষকে শুধুই তার বাহ্যিক দিক দিয়ে চিন্তা করি।ভেতরটা নিয়ে কেউ ঘাটায় না। একজন মদ,গাঁজা খায়।আমরা বলি,"শালা খোর।" এটুকু বলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ। আচ্ছা,মদ-গাঁজা খেলেই মানুষ খারাপ হয়ে যায়?এটা কোন সংবিধানে লিখা আছে? হ্যাঁ,স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেটা বলা যায়। আরেকজন, সারাদিন পড়াশোনা করছে,ক্লাসের ফার্স্ট বয়,দুদিন পর ভাল চাকরী করবে,মোটা অংকের স্যালারী পাবে। "ইশ্,অমুকের ছেলেটা বা তমুকের মেয়েটা এক্কেবারে সোনায় সোহাগা।" এদিকে যে দুনিয়ার আকাম-কুকাম করে বেড়াচ্ছে তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। ওই ছেলেটা রাগী,এই মেয়েটার ব্রেকআপ হয়েছে,ও খারাপ,ওর ড্রেসআপ ভালো না,আবার ওর ওই সমস্যা,সাইকো প্রবলেম,ওর স্মার্টনেস নাই,ক্ষেত,প্রেম করা যাবেনা।কত মানুষকে যে আমরা কতভাবে ডিফাইন করি। মানুষের ভেতরে মানুষ থাকে।বাহ্যিক চেহারার ভিতরে আরেকটা মানুষ।আসল মানুষ। আমরা সেই আসল মানুষটাকে দেখিনা,দেখার চেষ্টাও করিনা।ঠকে যাওয়ার আগ মূহুর্তে ঠিকই দেখি।ওই,"উপরে পরিপাটী,তলে দিয়া ঘটিবাটী" টাইপ আরকি। সবাই উপর দিয়ে সন্তুষ্ট। খোঁজ নিয়ে দেখুন, কেউই সন্তুষ্ট না।সবারই আরো চাই,আরো চাই একটা ভাব আছে।বাহ্যিকভাবে না থাকলেও অভ্যন্তরীণভাবে ঠিকই আছে। এজন্যই তো মানুষ।অত্যন্ত জটিল,অত্যন্ত প্যাঁচানো।কিছুই বোঝা যায় না।আপনি কিছুই ধরতে পারবেন না।এজন্যেই মানুষ। কেউ ভালোর আদলে খারাপ,কেউ খারাপের আদলে ভালো। মানুষকে ভেতরে আর বাহিরে এক করা যায়না।
0 comments:
Post a Comment