Ismail Hossain"ছাত্ররাজনীতি ও নুরুল আজিম রনি"


বাংলাদেশ ভূখণ্ড এ ছাত্ররাজনীতির জন্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে।ছাত্ররা নিজেদের বিভিন্ন দায়ী এবং দেশের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করতো। তখনকার সময় ছাত্ররা দেশের জন্য এবং ছাত্রসমাজের জন্য রাজনীতি করতো।বাংলাদেশের জন্ম ও একমাত্র ছাত্ররাজনীতির হাত ধরেই।৫২ ভাষা আন্দোলন,৬২র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬র ৬ দফা,৬৯গণঅভূত্থান,৭০ নির্বাচন, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা সকলেরই জানা।এরপর সৈরাচার এরশাদ বিরুদ্ধী সকল আন্দোলন,৯০ এর গন আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা প্রশংসনীয়। ৯০ এর পর থেকে ছাত্ররাজনীতি আস্তে আস্তে চলে যেতে থাকে ক্ষমতা শীলদের পকেটে।।রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রসংগঠন গুলোকে নিজেদের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে। ।ছাত্রনেতাদেরকে নিজেদের অপকর্মের ভাগীদার করে ছাত্ররাজনীতিকে করেছে কুলশিত। ।ছাত্রনেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেধাবী ও যোগ্যদের কে বাদ দিয়ে নিজেদের লাঠিয়াল বাহিনীর সর্রদারদের কে নির্বাচিত করে।।আজকের ছাত্ররাজনীতির এই অবস্থার জন্য দায়ী ক্ষমতা লোভী শাসক দলগুলো ।।ছাত্ররাজনীতির পরিবেশ তারা এতটাই দূষিত করে পেলেছে যে কেউ ছাত্ররাজনীতিকে অতিতের গৌর্রবের জায়গায় নিয়ে যেতে চাইলেও শত বাধার কারণে পিছুহটতে বাধ্য হয়।।তাকে শিকার হতে হয় নেতাদের লালসার শিকার। ।।তাই গত কয়েক দশকে কাউকে সেই ভূমিকায় দেখি নি।।কয়েক দশক পর বীর চট্টলার পূর্ণভূমিতে আমরা দেখেছি এক উদীয়মান ছাত্রনেতা কে যিনি ছাত্ররাজনীতি কে নেতার ড্রইং রুম থেকে বের করে অতিতের ভূমিকায় নিয়ে যাওয়ার পথে হাটতে শুরু করেছেন।।এবং তিনি অনেকাংশে সফল ও হয়েছেন।।তিনি আর কেউ নয় উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।।।তিনি ছাত্রদের দাবী ও অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে আজ সারা চট্টগ্রাম এবং সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের কাছে একজন আর্দশ ছাত্রনেতার মডেলে পরিণত হয়েছেন।।কিন্তু অতিতের মত তিনিও ক্ষমতা লোভী নেতার লালশার শিকার হয়ে আজ ২৬ দিনের মত জেলেখানার অন্ধকার প্রকোষ্ঠ এ বন্দী।।।কারণ তিনি ছাত্ররাজনীতি কে ছাত্রসমাজের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পরিণত করেছেন,নেতার ড্রইং রুম ভিত্তিক রাজনীতি কে তিনি দেশ ও ছাত্রসমাজের কল্যাণের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ।।।
আমি মনে করি আজ শুধু নুরুল আজিম রনি ভাই কারাগারে বন্দী নয় ।ছাত্রসমাজের অগ্রগতি ও রনি ভাইয়ের মত নেতার লালসার শিকার হয়ে কারাগারের অন্ধকারে বন্দী। ।।।
তবে ইতিহাস বিপ্লবীদের পক্ষে কারণ আমরা দেখেছি বাঙালি জাতির জনক শেখ মজিবুর রহমান, চট্টলা বীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সহ সকল বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে।।কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র তাদেরকে রুখে দিতে পারেনি। ।তাদেরই আর্দশের সৈনিককে অপশক্তি কারাগারে বন্দী পারলেও তার অগ্রযাত্রা কে ব্যাহত করতে পারবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
 
জয় হোক ছাত্রসমাজের। ।
  
লেখক:Ismail Hossain
Share on Google Plus

About Anonymous

0 comments:

Post a Comment