Òশিক্ষক
নামে মাত্র, সারাদিন টিউশনি আর কোচিং বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত”
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড| শিক্ষকদের
বলা হয়
মানুষ
গড়ার কারিগর । সেই মানুষ গড়ার কারিগর যদি নিজ কর্তব্য ভুলে শুধু টিউশনি এবং কোচিং বাণিজ্য
নিয়ে ব্যস্ত থাকে তবে তাকে কি শিক্ষক বলা যাবে? বাংলাদেশেই রয়েছে জনাব আনিসুজ্জামান স্যারের মতো শিক্ষক আবার রয়েছে
টিউশনি এবং কোচিং বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকা সুভাষ দাস এর মতো শিক্ষক। সুভাষ চন্দ্র
দাস, পিতা- কানাই লাল দাস, সহকারি শিক্ষক, শুকুর মাহমুদ স্কুল এন্ড কলেজ, (গণিত, স্কুল
শাখা), মধুখালী, ফরিদপুর। সে ২০১০ সালে শুকুর মাহমুদ স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখাতে
গণিতের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। গণিতের শিক্ষক হওয়াতে তার পোয়াবারো। চাকরিতে যোগদান
করার কিছুদিন পর থেকেই সে গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করে। সৃজনশীল পদ্ধতি চালু
হবার পর হতে তার প্রাইভেট পড়ানোর পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। সকল ছাত্র-ছাত্রী বিশেষ করে
৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীদের তার কাছে প্রাইভেট পড়া বাধ্যতামূলক করে। সে ক্লাসে
দায়-সারাভাবে গণিতের ক্লাস নেয় এবং ছাত্র-ছাত্রীদের তার নিকট প্রাইভেট পড়ার জন্য বাধ্য
করে। তারা যদি প্রাইভেট না পড়ে তাহলে তাদেরকে
“গণিতে” ফেল করিয়ে দিবে বলে ভয় দেখায়। টিউশনির ফি বাবদ সে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের
নিকট হতে শ্রেনীভেদে প্রতিমাসে ২০০-৩০০ টাকা গ্রহণ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন
শেখ হাসিনা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার কথা চিন্তা করে এবং শিক্ষকদের জীবনযাত্রার উন্নতির
জন্য নতুন নতুন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা, সরকারিকরণ ও এমপিওভুক্ত করছে এবং এমপিও ভুক্ত
শিক্ষকদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছে কিন্তু তারপরও সুভাষ চন্দ্র দাস এর
মতো শিক্ষকদের কোন পরিবর্তন নাই। সে যেন শিক্ষকতা করতে নয় শিক্ষকতার মতো মহান পেশাতে
যোগদান করেছে শুধু টিউশনি এবং কোচিং বানিজ্য করার জন্য। টিউশনি, কোচিং বানিজ্য আইনে
দন্ডীয় অপরাধ হলেও সে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই এই অপরাধ করে যাচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment