" বাঙালী জাতির মুক্তি ও বাংলাদেশ "

মানুষ জন্মগতভাবেই স্বাধীন । স্বাধীন থাকতে সে পছন্দ করে । কিন্তু কেউ যখন তার স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করতে চায় তখন তার মনে তীব্র ক্ষোভ জন্মায় । তার প্রতি এই জোর অন্যায়টা যখন চরম পর্যায়ে চলে যায় তখন তার কাছে এটা অসহ্যনীয় হয়ে যায় । তীব্র এই ক্ষোভ তাকে সংকল্পে পরিণত করে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে । ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি চলে নানা রকম বৈষম্য ।সামরিক , অর্থনৈতিক , সাংস্কৃতিক , সর্বক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি চলে তীব্র বৈষম্য । এই বৈষম্য যখন চরম পর্যায়ে চলে যায় তখন এই জাতিকে মুক্ত করার জন্য আসে একজন মহান ব্যক্তি । বাঙালি জাতি ভালোবেসে তাকে "বঙ্গবন্ধু" উপাধিতে ভূষিত করেন । তার পুরো নাম " বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান " । তিনিই বাঙালি সত্তাকে টিকে রাখার জন্য আমরণ দেশের জন্য কাজ করেছেন । বঙ্গবন্ধু শুধু একটি উপাধি নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ , বাঙালির চিন্তা -চেতনা। সমগ্র বাঙালি জাতিকে একটি পতাকার নিচে এনে তাদের মধ্যে মুক্তির বীজমন্র দিয়ে দেন। আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি কুচক্রী শাসকের দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে । দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা পাই লাল সবুজের পতাকার দেশ। সোনার বাংলা মুক্ত হয়। বাঙালি মুক্তি পায়। যুদ্ধ পরবর্তী সত্যিকারের বাংলা গড়তে মহান নেতা শপথ নেন। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়। এই মহলই পরবর্তীতে জামাত-শিবিরে যোগ দেয়। জাতির পিতার বিরুদ্ধে ষড়যন্রে লিপ্ত হয় যার ফলস্বরূপ বাঙালি জাতি হারায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি , সারা পৃথিবীর খ্যাত মহান নেতা " বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে " । দেশে যখন পুনরায় নৈরাজ্য ফিরে আসল তখন মহান সৃষ্টিকর্তা দেশ তথা জাতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী "দেশরত্ন শেখ হাসিনা" কে পাঠান । যিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেশকে পরিচালনা করছেন । বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে গড়ার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন । সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে যিনি সর্বদা কঠোর । দলেরও কেউ যদি কোনো অপকর্মে লিপ্ত হয় তাহলে শাস্তি দিতে কুণ্ঠিত বোধ করেন না। পরম মমতাময় যে দেশের প্রতিটি নাগরিককে মাতৃস্নেহ দিয়ে লালন পালন করে চলেছেন । বাংলাদেশকে " ডিজিটাল বাংলাদেশ " গড়ার স্বপ্নে কাজ করেছেন । বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যকলাপকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে যিনি ইতিমধ্যে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন , তিনিই দেশরত্ন শেখ হাসিনা। " বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের " ভ্রাতৃসম সংগঠন " বাংলাদেশ ছাত্রলীগের " একজন কর্মী হতে পেরে নিজেকে ভালো লাগে । যখন অনুভব করি জাতির পিতার নীতিকে বুকে লালন করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার একজন কর্মী , তার জন্য কাজ করি , তখন নিজেকে ভালো লাগে , গর্ববোধ করি। আসুন আমরা সবাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশরত্নের পাশে থেকে কাজ করি যাতে আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারি ।

লিখেছেন : মুন্নী আক্তার, জবি।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment