বহু প্রাণ, রক্ত আর ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতার ৪৬ বছর। আজও আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি ও শিক্ষারমান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। একটি দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সে দেশের জনগণকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে হবে-সত্য। তাই বলে নামে মাত্র পরীক্ষা (যেহেতু পরিক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র পাওয়ার ঘটনা ঘটছে) ও সহজ খাতা মূল্যায়ণ করে লোক দেখানো শিক্ষিত জাতি বানানোর কোন স্বার্থকতা আছে বলে আমার মনে হয়না।
যাইহোক মূল কথায় আসি- একটা সময় নকলে ছেয়ে গিয়েছিল আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। সেই দুর্বস্থা থেকে ঘুরে দাড়াতে-না-দাড়াতেই আমরা আজ অধঃপতনের শেষ খাদটায় গিয়ে পৌছেছি-তা হলো-প্রশ্ন ফাঁস। যা কিনা নকলের চেয়েও শতগুণ ঘৃণ্য অপরাধ।
প্রশ্ন ফাঁস এটা এখন ওপেন সিক্রেট ঘটনা- আমরা সবাই দেখছি, সুযোগ লোঠছি কিন্তু মুখ খোলছিনা। পরীক্ষার আগের রাত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অধির আগ্রহে প্রশ্ন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ( এখানে আমি শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে দোষারুপ করবনা কারণ সুযোগ কে-না ব্যাবহার করতে চায়?)।
একটা বাচ্চা যদি ছোট বয়স থেকে পাবলিক পরীক্ষায় দুর্নীতির এমন মহোৎসব দেখে তাহলে সে সৎ হওয়ার অনুপ্রেরণাটা পাবে কোথায়? এই একটি ঘটনাই তো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও নৈতিকতাকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট!!!
আমরা বিগত কতগুলো পাবলিক পরীক্ষা ও মেডিকেল পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে আমাদের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা একদম মাদকাসক্ত ব্যাক্তিরদের মত আচরণ করছেন। মনে হচ্ছে এ ব্যাপারে তাঁরা যেন ডিনায়াল সিনড্রোমে (অস্বীকার করা রোগ) ভুগছে।
শিক্ষা সংক্রান্ত এই অপতৎপড়তাকে মাথাচাড়া দিয়ে জাগতে দিলে- একেকজন অনেকগুলো শিক্ষা সনদের অধিকারী হবে ঠিকই কিন্তু তাদেরকে বাঁচতে হবে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা নিয়ে। আমরা পরিণত হয়ে যাব মেরুদন্ডহীন জাতিতে আর পরবর্তী প্রজন্মকে বরণ করতে হবে পঙ্গুত্ব। এ অপতৎপড়তার বিরুদ্ধে এখনই সময় ঘুমন্ত জাতিকে জেগে ওঠার, এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর!!!
লেখক:সাহা পাপন
0 comments:
Post a Comment