==এ কেমন ঘৃণ্য অপরাজনীতি???? আসুন ধিক্কার জানায় এই হৃদয় বিদারক হাস্যকর নির্বোধ হীনমন্যতার, অশালীন প্রহসনের রাজনীতির!!!==



লেখকঃ জুয়েল আহমেদ ঝিনুক

সুপ্রিয় যশোরবাসী আপনারা অবগত আছেন সদ্য বিদায়ী ঝিকরগাছা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।কিছু অসাধু ভুইফোড়, চোর, বাটপার, ভন্ড,চাঁদাবাজ,টোকায়,রংবাজ নিয়ে হঠাৎ করে উথ্থান কিছু মৌসুমী নেতার মুখোশধারীরা স্থানীয় মাননীয় সাংসদের ঘৃণ্য নির্দেশনায় আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীদের পরাজিত করতে পাহাড় সমান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।এরই অংশবিশেষ স্থানীয় এম.পি মনির প্রত্যেকটা ইউনিয়নে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে,জামাত-বি.এন.পি প্রার্থীদের সাথে আঁতাত করেন তিনি তার নোংরা রাজনীতি সফল করার জন্যে। কিছু নেশাখোর চোর,টোকায়,রংবাজদের হাতে অস্ত্র দিয়ে বোমা দিয়ে ভোট অবধি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।ভোটারদের বাড়িতে বোমাবাজি, বেধড়ক মারধর, হুমকি, ধামকি, হামলা,মামলা, অমানুষিক নির্যাতন,নিষ্পেষণের স্টিম রুলার চালিয়েছেন নিবেদিত আওয়ামী পরিবার গুলোর উপর।এরকম বিভিন্ন ঘৃন্য চক্রান্তের,ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা নিরংকুশ ভোট পেয়ে বিজয় অর্জন করেছেন।জেনে রাখা ভাল বিশ্বাসঘাতকতা করে বেইমানি করে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নৌকা প্রতিকের বিপক্ষে ষড়যন্ত্রমুলক চক্রান্তকারীদের আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার করেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগ।এখানেই শেষ নয়, ঝিকরগাছার দুষিত রাজনীতিকে আরও কলুষিত করতে তাদের নোংরা কর্মপরিকল্পনা থেমে নেই।১৭ই মে বাংলাদেশের একমাত্র সফল রাষ্ট্রনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ-প্রত্যাবর্তন দিবসে জনসভার নাম করে পাবলিকের চোখে ধুলো দিয়ে আনুমানিক ২০ হাজার ভাড়া করে লোক সমাগম করতে চেয়েছিলেন গুটিবাজ ভুইফোড় নামধারী আওয়ামীলীগ।স্থানীয় মাননীয় সাংসদের নির্দেশে আয়োজিত জনসভায় মাত্র হাজার দেড়েক লোক ভাড়া করে আনতে পারলেও বাকিটা আর হয়ে ওঠেনি।সুতরাং তাদের অশুভ ষড়যন্ত্র সফল তো হয়নি বরং মাননীয় সাংসদ সাহেব বুঝে গেছেন যে তার নোংরা পরিকল্পনা পুরোপুরি ব্যর্থ। ঝিকরগাছাবাসী তাদের অবান্ঞ্চিত করেছে,প্রত্যাখান করেছে।যাক ঝিকরগাছা আমার আলোচ্য বিষয় নয়।আমার আলোচনা হচ্ছে আমাদের জেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল পদে থাকা (সভাপতি) আমাদের দিক-নির্দেশক শহিদুল ইসলাম মিলন সাহেব কে নিয়ে।ঝিকরগাছার রাজনীতি যখন দূষিত আবর্জনায় পরিপূর্ন,রাজনীতিকে যখন কোন অশুভ শক্তি গ্রাস করার নিমিত্তে ধবংসযজ্ঞ হলিতে মেতে উঠেছেন ঠিক তখনই তিনি নির্বোধের মত,নিজের বিবেক আত্মসম্মানকে বিসর্জন দিয়ে স্থানীয় মাননীয় সাংসদের অধিনস্ত হয়ে সেই বেইমান গাদ্দার বহিষ্কৃতদের সাথে, ভুইফোড় ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে এক মঞ্চে গিয়ে নিজেই পুরুষত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।সেই সাথে লজ্জা ঘৃনায় শোকে মাথা কেটেছেন জেলা আওয়ামীলীগের।হঠাৎ করে আলাদীনের চেরাগ পেয়েছেন বলে দলটাকে নিজের সম্পত্তি ভাবতে শুরু করেছেন।সভাপতি সাহেব,আপনাকে সবাই মাজা ভাঙা জানলেও আজ থেকে আপনাকে সবাই পাগলা অর্থালোভী কর্মচারি হিসেবেই জানে।সেদিন আর খুব বেশী দুরে নয় যেদিন আপনাকে এই গ্রুপিং সৃষ্টি,উত্তেজনা সৃষ্টি,নোংরামি রাজনীতি সৃষ্টির দায়ভার বহন করতে হবে।মনে রাখবেন জেলা আওয়ামীলীগ কখনো কাউকে ধরেনা,আর ধরলে কিন্তু সহজে ছাড়েনা।জানি আপনি অনেক আগেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন তবুও মনে করিয়ে দেয়....১৫ই আগষ্ট শোক দিবসেও একটা আলোচনাসভায় গিয়েছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য অভিভাবক জননেতা শাহীন চাকলাদার।সাথে ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।সকল নেতৃবৃন্দ কে সাথে নিয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগকে সাথে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন আওয়ামীলীগের প্রানের স্পন্দন জননেতা শাহীন চাকলাদার।সেদিন কিন্তু তৃনমুল থেকে শুরু করে কোন নেতাকর্মী বাদ পড়েনি।সেদিন কিন্তু আপনার মত কিছু দালাল নিয়ে নামমাত্র বিশাল জনসভার মঞ্চে উঠে সামনে কিছু ভাড়া করা লোক রেখে লোক হাসায়নি শাহীন চাকলাদার।সকল বিভেদ ভুলিয়ে সবাইকে এক কাতারে এনেছিলেন, এক মঞ্চে এনেছিলেন সেইদিনের সেই আলোচনাসভা মুহূর্তে মহাজনসমুদ্রে রুপ নিয়েছিল,শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত ছিল ঝিকরগাছার মাটি,প্রকম্পিত ছিল রাজপথ। সেই একতাবদ্ধ আওয়ামীলীগকে এভাবে ভাগাভাগিতে মেতেছেন আর সেখানে রক্ষক হয়ে নিজেই আবার ভক্ষক হয়ে গেলেন? তবে মোটা অংকের টাকার ববিনিময়ে করেছেন কি না আমার জানা নাই। আওয়ামীলীগের এতবড় ক্ষতি করে আপনি কি স্বর্গে গেলেন? নাহ? আপনি নরকের পঁচা নর্দমায় পড়েছেন আর সেখানেই আপনাকে পঁচতে হবে।
=====
আপনাদের সুচিন্তিত মতামত অবশ্যই জানাবেন প্রত্যাশা করি।ভাল লাগলে শেয়ার করবেন।
জানি না আমার লেখায় কোন ভুল হয়েছে কি না, আচরনে কোন কষ্ট পেলেন কি না আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা। যদি তেমনটি হয়ে থাকে তাহলে সকলেই আপনাদের ভক্তি স্নেহ ভালবাসার ভাই হিসেবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।কাউকে হেয় করা আমার উদ্দেশ্য নয়।সেই সাথে আপনাদের কাছে,সকল নেতাকর্মীদের কাছে আমার প্রানের দাবি আসুন! আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলের দোষ ত্রুটি ভুলে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে হাতে হাত রেখে কাধে কাধ মিলিয়ে উন্নয়ন ও দিন বদলের হাতিয়ার আওয়ামীলীগের ছায়াতলে আসি।সকল মুজিব সৈনিকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠিত হয়ে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশকে গড়ে তুলি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়।আর এগিয়ে চলি আমাদের সকলের মিশন ভিশন-2021
জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু,জয় হোক ঝিকরগাছাবাসীর,,,তথা সমগ্র যশোরবাসীর।
ভাল থাকুন সবাই।
Share on Google Plus

About Anonymous

0 comments:

Post a Comment