মসজিদে নামাজ পড়তে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, সেখানে ইয়া লম্বা একটা পাপোশ ছিলো, দরজা থেকে অজুখানা পর্যন্ত যেটি বিস্তৃত। আসলে বুঝতে পারছিলাম না এটার উপর দিয়ে কি জুতো সহ হেঁটে যাবো নাকি খালি পায়ে যাবো.... ভাবতে না ভাবতেই অজুখানার দিকে জুতো সমেত হাটা দিলাম.... একজন মুরব্বী টাইপের লোক হুংকার দিয়ে বললেন এই ছেলে তোমার কি কমেনসেন্স নাই? এটা পাপোশ জুতো পোশ না.... এটার উপর দিয়ে কেনো জুতো নিয়ে হেঁটে আসলে?
.
আমি কিচ্ছু বলি নাই জাস্ট চুপ করে জুতো গুলো হাতে নিয়ে... অজু করছিলাম, ঠিক তখনও শুনতে লাগলাম লোকটা বিড়বিড় করে কি সব আবোল-তাবোল বলছে। তিনি হয়তো এ মসজিদের কোন হর্তাকর্তা। অথবা স্থানীয় কোন মুসল্লি।
.
পাহাড় সম কষ্ট নিয়ে সেদিন নামাজ পড়েছিলাম... এতোটা অমনোযোগী হয়ে আমি এর আগে নামাজ পড়েছিলাম কিনা আমার মনে নেই...। আমি অনেক পরিণত তাই মুখ বুঝে সহ্য করতে পেরেছি সেটাই বা কম কিসে?
.
যে ছেলেটির সাথে ঘটনাটা ঘটেছে সে আমাকে বলেছে, আমার খুব ইচ্ছে করছিলো লোকটাকে কিছু কথা বলি যে, "বর্তমান যুগে যেখানে লাখ লাখ যুবকরা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নারী, গান, বাজনা, মাস্তি করা এসব নিয়ে পড়ে আছে সেই লাখ যুবকের মাঝ থেকে একটি শিক্ষিত যুবক নামাজ পড়তে এসেছে আপনি তাকে ভুল বুঝে অপমান করলেন। আপনি কিভাবে পারলেন একজন মুসলিম ভাইকে অপদস্থ করতে এতোগুলো মানুষের সামনে? একবার কোন যুবকের সাথে এহেন খারাপ আচরণ করলে দ্বিতীয় বার সেকি নামাজ পড়তে আসবে?"
.
আর হ্যা, এটাই কি আমার নবীর শিক্ষা ছিলো?
লেখক :তারিকুল ইসলাম তারেক
0 comments:
Post a Comment