সৈকত সেনগুপ্ত শুভ,28-05-2016
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নবগঠিত পুর্নাঙ্গ কমিটিতে “যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক” পদে মনোনিত করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মাজহারুল ইসলাম মিরাজ।
২০০৮-০৯ সেশনে দর্শন বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। পরবর্তীতে এই হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, “গত ছয় দশকে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা, স্বাধিকার আন্দোলন সহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ সব থেকে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে। জাতির প্রয়োজনের মুহুর্তে নেতৃত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিজয় নিশান উড়িয়েছে দেশের প্রাচীনতম এই ছাত্রসংগঠনটি। সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ে ছাত্রলীগ মাঠে নেমেছে বহু বার। দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ১/১১-এর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছাত্রলীগের তীব্র আন্দোলন জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছিল।
অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে পাথেয় করে ঢাঃবিঃ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স এর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীবান্ধব ১৯ দফা দাবী পেশ, সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পাস থেকে ব্যক্তিগত ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ, বাংলা নববর্ষে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানসহ সময়োপযোগী ও ইতিবাচক বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছে। উক্ত কর্মকাণ্ড সমুহের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আবারো প্রমান করেছে “ছাত্রলীগ সাধারণ মানুষের সংগঠন”। তাই আমি বিশ্বাস করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনের একজন কর্মী হওয়াটাও গৌরবের। ছাত্রলীগের প্রতি একাগ্রতা ও পরিশ্রমের পুরষ্কার হিসেবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ‘যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক’ পদে মনোনীত হয়েছি। শুধু সুসময়ে নয়, জাতির যেকোন সংকটের মুহূর্তেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে রাজপথে থাকবো।“
0 comments:
Post a Comment