"ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : চারুকলা অনুষদে ভর্তির খোঁজখবর" সৈকত সেনগুপ্ত শুভ ২৭-০৫-২০১৬




এইচ এস সি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা? আর কয়েকদিন পরেই শেষ হবে তোমাদের এইচ এস সি পরীক্ষা। সকলেই নিশ্চয় দারুন পরীক্ষা দিয়ে দারুণ একটি ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছো। এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তোমাদের অবতীর্ণ হতে হবে তোমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধে,যেই যুদ্ধের নাম ভর্তিযুদ্ধ।যেই যুদ্ধে সাফল্যের উপরই অনেকখানি নির্ভর করছে তোমার ভবিষ্যৎ পথচলা। আঁকাআকির হাত যাদের একটু ভাল তাদের প্রায় সবারই প্রথম লক্ষ্য থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ভর্তি হওয়ার। চিন্তা করছো,কিভাবে পড়তে হবে,কোথায় প্রস্তুতি নেবে এসব নিয়ে? চিন্তার কিছুই নেই।তোমাদের জন্যই চারুকলায় অধ্যয়নরত তোমাদের সিনিয়র অভিজ্ঞ বড় ভাইয়েরা পাশে আছেন সহায়ক হয়ে।শুধুমাত্র তোমাদের জন্যই তারা চালু করেছেন চারুকলা ভর্তি সহায়িকা কার্যক্রম 'কাঠপেন্সিল'। যেখানে থেকেই তোমরা জানতে পারবে চারুকলা ভর্তির যাবতীয় ইতিবৃত্ত এবং নিতে পারবে অভিজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে দারুণ একটি প্রস্তুতি।




বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তির খোজ খবর
১৯৪৮ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের হাতে গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি অন্তর্ভূক্ত বিষয় হিসেবে চারুকলা অনুষদের পথচলা খুব বেশি দিনের নয়। (২০০৮-২০০৯) শিক্ষাবর্ষে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চারুকলা বিষয় অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়। গত আট বছরে অবকাঠামোগত, বিষয়গত ও কর্মক্ষেত্রের প্রভূত পরিবর্তনের সাথে সাখে ভর্তি প্রক্রিয়ায়ও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। চারুকলা অনুষদের ভর্তির খুটি-নাটি নিয়েই আজকের এই পোস্ট।
গত বছরের ১২ আগস্ট উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১ম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেনীতে ভর্তি বিষয়ক সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় ভর্তি সংক্রান্ত নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। গত বছর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের নূন্যতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয় (চতুর্থ বিষয় ব্যাতিত) এস,এস,সি ও এইচ,এস,সি GPA এর যোগফল ৬.৫০ বা তার উর্ধ্বে হতে হবে।অর্থাৎ এস,এস,সি ও এইচ,এস,সি তে পৃথক ভাবে GPA চতুর্থ বিষয় ব্যাতিত ৩.০০ থাকতে হবে। যেখানে কারিগরি বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ড খেকে উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহনের করতে পারবে। এবছরের কোন সিদ্ধান্ত এখন ও জানা যায় নি।
এছাড়াও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইউডা, শান্তা মারিয়াম সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নুন্যতম যোগ্যতা প্রায় কাছাকাছি থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে মোট ৮টি বিভাগে রয়েছে। বিভাগগুলি হল : অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগ, গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ, ছাপচিত্র বিভাগ, ভাস্কর্য বিভাগ, মৃৎশিল্প বিভাগ, কারুশিল্প বিভাগ, প্রাচ্যকলা বিভাগ, শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগ। এই অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২০ নাম্বারের উপর, এস,এস,সি ও এইচ,এস,সি এর ফলাফলের উপর ৮০ নাম্বার (সর্ব মোট ২০০ নাম্বার)। ৬০ নাম্বার থাকে MCQ পরীক্ষা এবং বাকী ৬০ নাম্বর অঙ্কন (drawing) পরীক্ষার উপর। ৬০ নাম্বারের MCQ পরীক্ষায় ভাল করতে চাইলে যে কোন শিক্ষার্থীকে চারুকলার ইতিহাস, শিল্পকলার ইতিহাস, বাংলাদেশের স্থাপত্তকলা, সাহিত্য, বাংলাদেশের শিল্পকলা এবং সাম্প্রতিক বিষয়বস্তুর উপর অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। এছাড়াও বাংলা, ইংরেজি ও ব্যাকরণ বিষয়েও প্রস্তুতি নিতে হবে। MCQ এবং অঙ্কনে (drawing) এ সমান সমান নাম্বার থাকা সত্ত্বেও অঙ্কনে প্রাপ্ত নাম্বার চারুকলায় ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
অঙ্কন পরীক্ষায় ভাল করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অংকনের রেখার মান (line quality), আলোছায়া (light shed), পরিপেক্ষিত (perspective) প্রক্ষেপন/ কম্পোজিশন (composition), অনুপাত (proportion) এই বিষয় গুলির উপর নির্ভর করে অংকনের মান যাচায়ের মাধ্যমে নাম্বার দেয়া হয়। সুতরাং এই বিষয়গুলির উপর সুস্পষ্ট ধারণা ব্যাতিরেক অংকন পরীক্ষায় ভাল করা সম্ভব নয়।
বর্তমানে চারুকলার শিক্ষার্থীদের টেলিভিশন মিডিয়া, এ্যাড ফার্ম, নিউজ পেপার, ফ্যাশন হাউস, এনিমেশন এন্ড গেমিং ফার্ম, ডিজাইন, ফ্রিল্যান্স শিল্পী ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে কাজের জন্য ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে অনেকেই চারুকলায় ভর্তির ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাধিক প্রতিযোগিতা হয় চারুকলা অনুষদ (চ ইউনিট) এ। চ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৯০ জন এর মত আবেদন করেছিল। ১৩৫ টি আসনের বিপরীতে ১২১৬৭ জন আবেদন করেছে। তাই এখন মোটেও হেলাফেলার সময় নেই। লক্ষ্য স্থির রেখে দৃঢ় প্রস্তুতি নিতে হবে।
সুতরাং আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আজকে থেকেই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া উচিত।
চারুকলায় ভর্তিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা যেন চারুকলার পড়াশোনা সম্পর্কে একটি নূন্যতম ধারণা নিয়ে চারুকলায় ভর্তির সুযোগ পায়, এই উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের চতুর্থ বর্ষের বি,এফ,এ (সম্মান)এর শিক্ষার্থীরা অনুষদের প্রাঙ্গনেই প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও ১০ জুন থেকে "কাঠপেন্সিল" শীর্ষক একটি কর্মশালার কার্যক্রম শুরু করেছে। যেখানে বাংলাদেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের কে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করতে পার।


 সেলফোনঃ
১. লিসান………০১৬৮১৬৪৯০৭৩
২. ঈশিতা……..০১৮৫৪-৫২৩৫৮৯
৩. সৌরভ…….০১৮৮১১৭৮০৯৪
৪. সীমা……….০১৬৮৭৪২২৮০৬
৫. আদিল…….০১৬৮৮০৩০৭৬৯
৬. সারা………..০১৫১৫২৮৯৮৯৮
৭. উৎপল…….০১৫১৫২০০৮৫২
৮. উর্মি…………০১৭২১৪৭৭২৬৬
Share on Google Plus

About Anonymous

0 comments:

Post a Comment